Wednesday, September 23, 2015

গরুর নেহারি

উপকরণ
গরুর রানের নিচের অংশের মাংস আর সঙ্গে ২টা নলি, ১ কেজি। তেল ১ কাপ। আদা-রসুনবাটা দেড় টেবিল-চামচ, উঁচু উঁচু করে নিতে হবে। লালমরিচের গুঁড়া দেড় টেবিল-চামচ (কাশ্মীরি মরিচ গুঁড়া বা হাট হাজারী মরিচ গুঁড়া ব্যবহার করলে ভালো হয়। তাহলে ঝাল কম হবে এবং নেহারির রংও সুন্দর হবে)।  লবণ ২ চা-চামচ বা স্বাদ মতো। নেহারি মসলা ৪ টেবিল-চামচ। গরম পানি আধা কাপ। আটা ২ টেবিল-চামচ। ময়দা ২ টেবিল-চামচ।
নেহারির মসলা তৈরি: সবুজছোট এলাচ ২০টি। কালো বড় এলাচ ১০ টি। দারুচিনি ১ ইঞ্চি টুকরা ১/৪ কাপ। লবঙ্গ ২ টেবিল-চামচ। কালো গোলমরিচ ১/৪ কাপ। মৌরি/মিষ্টি জিরা ১/৪ কাপ। জয়ত্রী ১ টেবিল-চামচ। জায়ফল একটার চার ভাগের এক ভাগ। শাহীজিরা ১ চা-চামচ। মিট টেন্ডা রাইজার ২ টেবিল-চামচ (না দিলেও হবে )। পোস্তদানা ২ টেবিল-চামচ। লাল মরিচগুঁড়া উঁচু করে ২ টেবিল-চামচ। হলুদগুঁড়া ১ চা-চামচ। আদাগুঁড়া উঁচু করে ২ টেবিল-চামচ (প্যাকেটে কিনতে পাওয়া যায়)।
এই সবমসলা গুঁড়া করে একটি বাতাস নিরোধক বয়ামে রাখুন। এই মসলা থেকেই ৪ টেবিল-চামচ মসলা নেহারিতে দিতে হবে।
বাগাড় দেওয়ার জন্য লাগবে: ঘি বা তেল ৪ টেবিল-চামচ। পেঁয়াজকুচি ৪ টেবিল-চামচ।
পরিবেশনের জন্য লাগবে: কাঁচামরিচ-কুচি। ধনেপাতা-কুচি। আদাকুচি ও লেবু।
নেহারি রান্নার পদ্ধতি
প্রথমে একটা শুকনা তাওয়াতে ময়দা ও আটা একসঙ্গে চার, পাঁচ মিনিট টেলে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন ময়দা ও আটা পুড়ে না যায় এবং রং যেন ঠিক থাকে।
ময়দা ও আটা টালা হলে এক কাপ পানিতে গুলে ফেলুন। তারপর মাংস একটু বড় টুকরা করে কেটে ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখতে হবে।
এখন একটা হাঁড়িতে তেল দিন। গরম তেলে আদা-রসুনবাটা দিয়ে কয়েক মিনিট ভেজে এর মধ্যে মাংস ও নলি বা গরুর পায়ের হাড় দিয়ে তিন থেকে চার মিনিট ভালো করে ভাজতে হবে।
মাংস একটু ভেজে এর মধ্যে লবণ, মরিচগুঁড়া, নেহারির মসলা ও আধা কাপ গরম পানি দিয়ে নেড়ে ভালো করে মাংস কষাতে হবে সাত থেকে আট মিনিট।
মাংস কষে তেল উপরে আসলে আট থেকে দশ কাপ পানি দিয়ে ঢেকে মাঝারি আঁচে এক থেকে দুই ঘণ্টা রান্না করতে হবে। অথবা মাংস খুব ভালোভাবে সিদ্ধ হয়ে নরম হয়ে যাওয়া পর্যন্ত রান্না করুন।
যখন মাংস খুব ভালো ভাবে সিদ্ধ হয়ে যাবে এবং ঝোল কিছুটা কমে আসবে তখন এর মধ্যে অল্প অল্প করে পানিতে গুলে রাখা ময়দার মিশ্রণ ঢালতে হবে এবং অন্য হাতে নেহারি নাড়তে হবে। তা না হলে ময়দার মিশ্রণ ভালো করে ঝোলের সঙ্গে মিশবে না আর দানা দানা হয়ে যাবে।
এই ময়দার মিশ্রণ নেহারিকে ঘন করবে। তাই একবারে সবটুকু ঢেলে দেওয়া যাবে না। নেহারি যতটুকু ঘন চান সেই অনুযায়ী দিতে হবে।
গুলানো ময়দা দেওয়ার পর নেহারি একদুবার ফুটে উঠলে চুলার আঁচ একদম কমিয়ে, মৃদু আঁচে আরও ৩০ থেকে ৪০ মিনিট রান্না করতে হবে। কিছুক্ষণ পর পর নাড়তে হবে যেন হাঁড়ির তলায় লেগে না যায়।



















তারপর নেহারির উপরে তেল উঠে আসলে চুলা বন্ধ করতে হবে।
একটা প্যানে ৪ টেবিল-চামচ ঘি বা তেল গরম করে তার মধ্যে পেঁয়াজকুচি দিয়ে ভাজতে হবে। পেঁয়াজ সোনালি হয়ে এলে তেলসহ পেঁয়াজভাজা নেহারিরর উপরে ঢেলে দিতে হবে।
এখন পরিবেশন পাত্রে নেহারি ঢেলে এর উপরে কাঁচামরিচ-কুচি, আদাকুচি ও ধনেপাতার কুচি ছড়িয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন। সঙ্গে দিতে পারেন নানরুটি, রুমালি রুটি অথবা সেঁকারুটি।
কিছু টিপস: যদি মাংস সিদ্ধ হতে হতে ঝোল বেশি কমে যায় তাহলে পরিমাণ মতো গরম পানি দেওয়া যাবে। কারণ নেহারিতে ঝোলের পরিমাণ একটু বেশি থাকে এবং ঝোল একটু ঘন হয়। নেহারি যত বেশি সময় ধরে জ্বাল দেওয়া হবে, স্বাদও তত বেশি হবে।
চাইলে প্রেসার কুকারেও করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে মসলা দিয়ে মাংস কষানোর পর আট থেকে দশ কাপ পানি দেওয়ার পরিবর্তে দুতিন কাপ পানি দিয়ে কুকারের ঢাকনা লাগিয়ে রান্না করুন।
মাংস যখন সিদ্ধ হয়ে যাবে তখন আবার পরিমাণ মতো গরম পানি দিয়ে রান্না করতে হবে। ঝোল ফুটে উঠলে গুলিয়ে রাখা ময়দা দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট মৃদু আঁচে রান্না করতে হবে। 

মোরগের রোস্ট

উপকরণ
মোরগ ২টি। সয়াবিন তেল ১ কাপ (ভাজার জন্য)। পেঁয়াজকুচি ১ কাপ। ঘি আধা কাপ। টক দই ১ কাপ। পেঁয়াজবাটা ২ টেবিল-চামচ। আদাবাটা  ২ টেবিল-চামচ। রসুনবাটা ২ চা-চামচ। পোস্তদানা-বাটা ২ টেবিল-চামচ। গোলমরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ। জাফরান আধা চা-চামচ। কেওড়া ২ টেবিল-চামচ। চিনি ২ চা-চামচ। লেবুর রস ২ টেবিল-চামচ। জয়ত্রিগুঁড়া ১/৪ চা-চামচ। এলাচবাটা ৮টি। দারুচিনি-বাটা আধা চা-চামচ। কিশমিশ  ২ টেবিল-চামচ। পেস্তাবাদাম-কুচি ১ টেবিল-চামচ। খাবার রং অল্প (না দিলেও হবে)। লবণ স্বাদ মতো।



















পদ্ধতি
মোরগের মাংসের চামড়া ছাড়িয়ে চার খণ্ড করে মোট আট টুকরা করতে হবে। হালকা রং মাখিয়ে তেলে ভেজে ফেলুন মাংসের টুকরাগুলো।
পেঁয়াজ ভেজে রাখবেন আগেই। কেওড়াতে জাফরান ভিজিয়ে রাখুন। ঘি, টক দই, পেঁয়াজবাটা, আদাবাটা, রসুনবাটা, পোস্তদানা বাটা, লবণ একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিন এবং মাংসের সঙ্গে মাখিয়ে দিন।
যে প্যানে মাংস ভেজেছিলেন তাতে ঘি এবং মসলায় মাখানো মাংসগুলো দিয়ে চুলার আঁচ কমিয়ে ঢেকে দিন।
চাইলে পানি দিতে পারেন। পানি না দিলে দই ও বাটামসলা থেকে যে পানি বের হবে তা দিয়েই মাংস সিদ্ধ হয়ে ভুনা হয়ে হবে।
যারা ঝোল বেশি রাখতে চান তারা পানি দিতে পারেন। যদি পানি না দেন তাহলে বারবার এসে দেখবেন পুড়ে যায় কিনা।
এখন পানি কমে আসলে, গরম মসলা, কেওড়া, চিনি, লেবুর রস মাংসে দিয়ে কষিয়ে আগেই করে রাখা পেঁয়াজভাজা উপর দিয়ে ছড়িয়ে নামিয়ে ফেলুন। পরিবেশন করুন।

কাচ্চি বিরিয়ানি

উপকরণ 
(
)খাসির মাংস অথবা গরুর মাংস কেজি ,
পোলাও চাউল কেজি ,
কাচাঁমরিচ ১৪/১৫টি ,
আলু বোখরা /৫টি,
কিসমিস কিছু ,
গরম মসলা ( দারুচিনি ,এলাচি ,তেজপাতা ) ,
বড় বড় করে কাটা আলু ,
প্রয়োজন মত আটা গুলানো খামির ,
(
) (টকদই কাপ ,
মরিচ গুড়া টেবিল চামচ,
কাচ্চি বিরিয়ানি মসলা টেবিল চামচ,
আদা বাটা টেবিল চামচ ,
রসুন বাটা টেবিল চামচ ,
পেয়াজ বেরেস্তা কাপ ,
জাফরান গুলানো পানি টেবিল চামচ 
ঘি / কাপ ,
তেল টেবিল চামচ ,
কাঠবাদাম(Almonds) বাটাপেস্ট২ টেবিল, 
টক দই সাথে উপকরন গুলো সব মিশিয়ে রাখুন )

) (এক কাপ ঘন দুধ ( পাউডার দুধ পানিতে গুলিয়ে নিতে পারেন ) ,
গরম পানি / কাপ ,
কেওড়া জল টেবিল চামচ ,
জাফরান রং পানি টেবিল চামচ ,
ঘি / কাপ ,
দুধের সাথে সব মিশিয়ে রাখুন দমে দেওয়ার আগে বিরিয়ানি উপর ছিটিয়ে দাওয়ার জন্য )


প্রস্তুত প্রনালি :মাংস ধুয়ে নিন এবং টেবিল চামচ লবণপানিতে ভিজিয়ে রাখুন কয়েক ঘণ্টা। মাংস লবণে থাকার কারণে নরম হয়ে যাবে এবং সহজে সেদ্ধ হবে। লবন পানি ফেলে নিন মাংস আর ধুতে হবে না এবার পরিস্কার পাতলা কাপড় অথবা কিচেন টিসু দিয়ে মাংস ভালো করে মুছে নিন যাতে মাংসের কোন পানি না থাকে
যে হাড়িতে বিরিয়ানি রান্না করবেন সেই হাড়িতে মাংস দিয়ে দইয়ের সাথে মেশানো মসলা এবং পেয়াজ বেরেস্তা দিয়ে খুব ভালো করে মাংসর সাথে মেখে দিন এবং উপরে ,আস্ত গরম মসলা এলাচ ,দারুচিনি ,তেজপাতা এবং কাচাঁমরিচ ,কিসমিস উপরে ছিটিয়ে দিন মাংসের কাজ শেষ যেহেতু মাংসের সাথে লবন দিয়ে ভিজিয়ে রাখা হয়েছে তাই মাংস এমনি লবন থাকবে এজন্য খেয়াল রাখবেন পরে মসলা মাখানো পর লবন দাওয়ার সময় দরকার হলে কাঁচা মাংস একটু জিহ্বা লাগিয়ে লবন দেখে নিন ৷এবং মাংসে মাখানো সময় সেই পরিমানে লবন দিন  
আলু সাথে একটু লবন এবং জাফরান গুলাননো পানি ছিটিয়ে মেখে গরম তেলে ভেজে মাংসের উপরে দিয়ে রাখুন
এবার চাউল আলাদা একটি হাড়িতে পানির সাথে পরিমান মত লবন দিয়ে গরম করে চাউল ৮০% সিদ্ধ করে পানি জরিয়ে নিন
মাংসের ওপরে সেদ্ধ চাল সমান করে বিছিয়ে নিন। এবং উপকরন ( ) দুধের সাথে মিশানো উপকরন সব টুকু বিরিয়ানি উপর ছিটিয়ে দিন এবং কিছু পেয়াজ বেরেস্তা ছিটিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন এবং ঢাকনা চারপাছে গুলানো আটা খামির দিয়ে ভালো করে বন্দ করে দিন ঢাকনা
বিরিয়ানি হাড়ি চুলায় দিয়ে প্রথম মিনিট চুলার আচঁ বারিয়ে দিন যাতে করে হাড়ি গরম হয় এবার হাড়ির নিচে একটি তাওয়া অথবা পাতলা স্টিল প্লেট দিয়ে বিরিয়ানি হাড়ি তার উপর বসিয়ে চুলার আচঁ একবারে কমিয়ে পৌনে দুই ঘন্টা দমে রাখুন
যদি বাংলাদেশের এলোমেনিয়াম পাতিলা হয় তাহলে ঢাকনা চারপাশে আটা লাগানো পর ঢাকনা
এক পাশে একটি ছোট চামচ ঢুকিয়ে একটু ফাকা করে নিন তা না হলে বিরিয়ানি একেবারে গলে যাবে  
ননস্টিক হাড়ি তে রান্না করলে তাহলে আর এটা করতে হবেনা সেই হাড়ির কাচের ঢাকনা উপরে ছোট ছিদ্র থাকে তাই চামচ দিয়ে ফাকা করতে হবে না
নোট :আমি কেজি মাংসের বিরিয়ানি পৌনে দুই ঘন্টা দমে রাখছিলাম এখন কম মাংসের বিরিয়ানি হলে দমে কম সময় রাখতে হবে ৷আবার বেশি মাংস রান্না করলে বেশি সময় দমে রাখতে হবে  
অল্প কিছু জাফরান পানিতে ভিজিয়ে রাখলে সুন্দর জাফরান রং হয় এই জাফরান খুশবো কাচ্চি বিরিয়ানি অনেক সুস্বাদু করে আপনার যদি জাফরান না থাকে তাহলে খাবার রং ব্যবহার না করাই ভালো খাবার রং শরীর জন্য ভালো না !